পিরোজপুর প্রতিবেদক : পিরোজপুরের সদর পৌরসভা সহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোয় বেআইনি কোচিং বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি শিক্ষা নীতিমালার তোয়াক্কা না করে বীর দর্পে অন্য বেআইনি কোচিং করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। কোমল মতি বালক বালিকাদের জিম্মি করে সকাল ও সন্ধ্যার পর এক তরফা ভাবে কোচিং বাণিজ্য করে যাচ্ছে সকলক বোকা বানিয়ে। সরকারি শিক্ষা নীতিমালা অগ্রাহ্য করে স্কুল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী ইংরেজি শিক্ষক মোঃ ওহিদুজ্জামান সহ বহু শিক্ষকরা অবাধে কোচিং বাণিজ্য করে যাচ্ছে। স্থানীয় উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অতি নিকটে থেকেও বীরদর্পে অন্যায় কাজ করে যাচ্ছে।
স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা গত দুইদিন ধরে সরাসরি বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন পাঠক সহ উপজেলা শিক্ষা অফিসের সার্থে। বিবেকহীন কিছু তো নামধারী প্রধান শিক্ষকরা সহ সহকারী শিক্ষকরা সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেন না। বরং স্বরূপকাঠি পৌরসভার মধ্যে আকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ স্বরূপকাঠি সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা সরাসরি কোচিং বাণিজ্য করে আসছে। এ ব্যাপারে পৌরসভার বহু সচেতন অভিবসবকরা দুঃখের গল্প বলেন জেলার ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের। ” শিক্ষক জাতীয় দ্বিতীয় পিতা ” অথচ নীতিব্রষ্ট হয়ে অবৈধভাবে অর্থ রোজগারের জন্য লাজলজ্জা ভুলে যায় বেমালুম। নাম না প্রকাশের শর্তে পৌরসভার একজন অভিভাবক বলেন, আকলমের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর। বিগত সময়ে এভাবে কোন প্রধান শিক্ষক অবৈধ কোচিং বাণিজ্য করার সাহস পেতেন না। পাশাপাশি অপরদিকে বিগত সময়ে পাইলটের প্রধান শিক্ষক কোচিং বাণিজ্য করতেন না। বর্তমানে স্বপন দত্ত সমগ্র বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করেছেন বিভিন্ন বিতর্কিত কাজ কর্ম করে । আর আকলমের অবস্থাও সেই ধারায় চলছে বীরদর্পে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয় জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথ। মিডিয়ার সকল প্রশ্নের জবার সরাসরি না দিলেও একটা বিষয়ে এরকম পোষণ করেন। কোচিং বাণিজ্য বর্তমানে সরাসরি নিষিদ্ধ। আর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আসলে আমাদের কাছে কেহ সরাসরি অভিযোগ দেয়না। আমরা কিন্তু অভিযোগ পেলে পাল্টা এ্যাকশানে যাই কোমল মতি বালক বালিকাদের কথা চিন্তা করে। তবে চমৎকার কথা বলেছেন, নেছারাবাদ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু। তিনি অকপটে স্পষ্ট ভাষায় একটা কথাই বলেন, আমাদের বিবেক বোধ ক্রমাগত পচন ধরছে। শিক্ষকরা যদি অপরাধ করেন বা বিতর্কিত হন কাজে কর্মে। তাহলে ছাত্র ছাত্রীরা কার কাছে শিখবে। তবে অভিভাবকগণরা এগিয়ে আসতে হবে প্রতিষ্ঠান ভালো রাখার জন্য। এদিকে সর্বশেষ পর্যায়ে কথা হয় আকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেনের সাথে। জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি। এটাও স্বীকার করেছেন, কোচিং বাণিজ্য করা সঠিক নয়। তাছাড়া শিক্ষা নীতিমালার মধ্যে পড়ে না। অপর দিকে পাইলটের প্রধান শিক্ষক বাবু স্বপন দত্ত, মিডিয়ার কথা শুনেই ব্যাস্ততার কথা বলে ফোন কেটে দেন। সর্বপরি জেলা সহ স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে কোচিং বাণিজ্য সমগ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করেছেন। আর জিম্মি হচ্ছে কোচিং বাণিজ্যের কাছে কেমল মতি ছেলে মেয়েরা।
Related